Friday, April 5, 2019

খুব সহজেই তৈরী করুন যেকোন সফটওয়্যারের কাস্টোমাইজ EXE ফাইল।

————————–— بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ————————–—

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ্
পরম করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আল্লহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন৷ আলহামদুলিল্লাহ্, আমিও অনেক ভালো আছি৷
আবারও আপনাদের সামনে একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে হাজির হলাম৷ আশা করি ধৈর্য্য ও মনোযোগের সাথে পুরো লেখাটা পরবেন৷ “ইনশাআল্লাহ্” অবশ্যই উপকৃত হবেন৷ তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে সামনের দিকে আগানো যাক৷

বন্ধুরা, আমরা যারা বাসায় কিংবা কর্মক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি তারা হয়তো EXE ফাইল ফরমেটের সাথে কম বেশি পরিচিত। তারপরেও যাদের উক্ত বিষয় সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই তারা হয়তো আমার পুরা লেখাটা ভালোভাবে পড়লে জোরালো একটা ধারনা হয়ে যাবে৷ EXE ফাইল ফরমেট একটি সাধারণ ফাইল এক্সটেনশান যা ডস, উইন্ডোজ সিম্বিয়ানের মতো আরও অনেক অপারেটিং সিস্টেমের ফাইলগুলোকে কম্পিউটারে প্রোগ্রাম হিসাবে রান করাতে সক্ষমএক কথায় বলতে গেলে উইন্ডোজ ভিত্তিক প্রোগ্রামগুলো EXE ফরমেটেই তৈরী। অর্থ্যাৎ, উইন্ডোজের সকল প্রোগ্রামগুলোর এক্সটেনশান হচ্ছে EXE৷ যা আপনার পিসির Organize➯Folder and search optionsView Tab➯
Show hidden files, folders & drivers. (ক্লিক করুন)
Hide extensions for known file types. (টিক মার্ক উঠিয়ে দিন)
এই পদ্দতিতে বের করে দেখতে পারবেন।
এবার আসুন কাস্টোমাইজ EXE সম্পর্কে একটু ধারনা লাভ করা যাক৷ স্বাভাবিক ভাবে বলতে গেলে কম্পিউটারের যেকোন EXE প্রোগ্রামকে সামান্য কাস্টোমাইজশান করে আলাদা রূপে তৈরী করাই হচ্ছে কাস্টোমাইজ EXE ফাইল৷ সহজ ভাবে একে মডিফাইড EXE ফাইলও বলা যায়৷ যে কোন সফওয়্যার কম্পানী তাদের সফওয়্যারগুলো তৈরীর পরে, সেই অবস্থাকে কিছুটা পরিবর্তন করে বা নতুন তথ্য যুক্ত করে পুনরায় সেই সফওয়্যারগুলোকে EXE ফাইলে পরিনত করে কাজের উপযোগী করে তোলাই হচ্ছে কাস্টোমাইজ EXE এর মূল বিষয় বস্তু৷ একটা EXE ফাইলকে কাস্টোমাইজশনের মাধ্যমে সেই ফাইলের নাম, আইকন, ইন্টারফেজ লোগো, কম্পানীর তথ্যাদিসহ মূল ফাইলে আরো অনেক রকমের পরিবর্তন আনা সম্ভব৷
বন্ধুরা, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কাস্টোমাইজশন EXE ফাইল তৈরী করা৷ আর এই কাজের জন্য আমরা যে প্রোগ্রামটা ব্যবহার করবো সেই প্রোগ্রামটার কাজ মূলত কোন ইন্সটল করা বা আনপ্যাক করা ফাইলকে প্যাক করে EXE ইন্সটলার ফাইলে পরিনত করা৷ এবার ভাবতে পারেন ইন্সটল করা বা আনপ্যাক করা ফাইলকে প্যাক করে EXE ইন্সটলার ফাইলে পরিনত করার কি দরকার? মনে করেন, আপনাকে কেউ একটা গুরুত্বপূর্ন এপস ইন্সটল করে দিলো, কিন্তু ব্যাকআপ ফাইল দিলো না অথবা ইন্টারনেট থেকে একটা ফাইল ডাউনলোড দিয়ে পরে দেখলেন ওটা অনলাইন ভার্সন ছিলো৷ এরপর যদি আপনি আপনার পিসি সেটআপ দেন তাহলে ঐ ফাইলতো আর পাবেন না৷ ঐ ফাইলের জন্য হয় আপনার বন্ধু না হয় আবার ইন্টারনেটের কাছে হাত পাততে হবে৷ আর যদি ঐটার একটা ব্যাকআপ ফাইল তৈরী করে রাখতেন তাহলে আর কোন চিন্তা থাকতো না৷ যতোবার খুশি ইন্সটল দিতে পারতেন৷ সাথে কাস্টোমাইজশান ফ্রি৷
যাই হোক ভিউয়ার্স, প্যাঁচাল অনেক হইছে এবার কাজের কথায় আসি৷ উক্ত কাজটি করার জন্য আমাদের যে সফওয়্যারটার দরকার, তার নাম হলো Smart Install Maker. সুতরাং, জলদি করে আইকনের নিচে থাকা লিংকে ক্লিক করে ফাইলটি ডাউনলোড করে ফেলুন৷
Smart Install Maker
ডাউনলোড করা হয়ে গেলে একটু কষ্ট করে ফাইলটাকে চিরাচরিত নিয়মে ইন্সটল দিয়ে দিন৷ ইন্সটল শেষে ডেস্কটপে থাকা Smart Install Maker নামক আইকনে ডবল ক্লিক করে ফাইলটি ওপেন করুন এবং সফওয়্যারটাকে ফুল ভার্সন করে নিন৷ ফুল ভার্সন করার জন্য প্রথমে Serial Key ফাইলটিতে ক্লিক করে Key ফাইলটা ডাউনলোড করে নিন এবং নিচের স্ক্রিনশট গুলো ফলো করুনঃ
১৷ প্রথমে সফওয়্যারের মূল ইন্টারফেজ থেকে Help মেনুতে ক্লিক করে Enter Key অপশনে চলে যান৷
২৷ এবার দেখুন Enter license key নামক একটা ঘর ওপেন হয়েছে৷ এখানে আপনার ডাউনলোড করা Key ফাইল থেকে যে কোন একটা Key খালি ঘরে বসিয়ে OK করুন৷
৩৷ এবার দেখুন Thank you for registering! লেখা একটা পপ-আপ মেনু ওপেন হবে৷ এখানে OK করুন এবং দেখুন আপনার সফটওয়্যার ফুল ভার্সন হয়ে গেলো৷
কার্যপ্রনালীঃ বন্ধুরা, এপসটিতে একবার কাজ করলেই এর কার্যপ্রনালী সম্পর্কে আপনাদের ধারনা হয়ে যাবে৷ যদিও এপসটি সাইজে অনেক ছোট, তরপরেও এতে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ন ও মজার ফিচার পাবেন৷ সবগুলো অপশন হয়তো আপনাদেরকে একবারে বোঝাতে পারবো না৷ তবুও যথাসম্ভব চেষ্টা করবো যাতে আপনারা এপসটি সম্পর্কে একটা বেসিক ধারনা লাভ করতে পারেন৷ তাহলে চলুন শুরু করা যাক৷
প্রথমেই সফওয়্যারটি ওপেন করলে আপনি এর মেইন উইন্ডো দেখতে পাবেন ঠিক নিচের চিত্রের মতো৷ এবার মেইন উইন্ডোর বামে লক্ষ্য করলে দেখবেন সকল ফিচারগুলো InstallerUninstaller এই দুই ভাগে বিভক্ত৷ এখানে InstallerUninstaller মেনুতে বেশ কিছু অপশন রয়েছে৷ চলুন শুরুতেই আমরা Installer মেনুর ফিচার গুলো নিয়ে আলোচনা করি৷
১৷ General: এটাই হচ্ছে এপসটির প্রথম ইন্টারফেজ৷ আপনি যে ফাইলটা নিয়ে কাজ করতে চান তার প্রাথমিক তথ্য এই মেনু থেকেই পরিবর্তন করতে পারবেন৷ যেমন ধরুন ঐ ফাইলটার নাম, ভার্সন, ওয়েব এড্রেস, সাপোর্ট লিংক ইত্যাদিসহ ফাইলটাকে মডিফাই করার পর কোথায় সেভ করবেন তাও এই পেজ থেকে পরিবর্তন করতে পারবেন৷
২৷ Files: ফাইলস মেনুর কাজ হলো ফাইলগুলো এড করা৷ অর্থ্যাৎ, যে ফাইল নিয়ে আপনি কাজ করতে চান সেই ফাইলগুলোকে এখানে এড করবেন৷ এখানে দুই ভাবে ফাইল এড করতে পারবেন৷ এর মধ্যে (+) আাইকনে ক্লিক করে শুধু যেকোন ফাইল (Add) যোগ করতে পারবেন অথবা (Folder+) আাইকনে ক্লিক করে (Add a folder with files) পুরো একটা ফোল্ডাকে যোগ করতে পারবেন৷
৩৷ Requirements: এই মেনুর প্রথমেই আপনি দেখবেন, আপনার তৈরী কৃত প্রোগ্রাম কোন কোন অপারেটিং সিস্টেমে চলতে পারবে তার একটা লিস্ট৷ আর এখানে অবশ্যই সবগুলোতে টিক মার্ক করে দেবেন৷ এরপর একটু নিচে দেখবেন এডমিনিস্ট্রেশান পারমিশানের ঘর আছে এখানেও টিক মার্ক করতে হবে এবং বাকি সব সেটিংস ঠিক ঠাকই থাকবে৷
৪৷ Dialogs: সফটওয়্যারের এই অংশটিতে চারটি ট্যাব রয়েছে৷ এগুলো হলো General, License/Information, Password এবং Complete Installation. চলুন একে একে এদের কাজগুলো সম্পর্কে জানা যাক৷
I. General: এই পেজের শুরুতেই আছে Silent installation অপশনটি৷ আপনি যদি আপনার তৈরী করা ফাইলটিকে সাইলেন্টলী ইন্সটল দিতে চান তাহলে এখানে টিক মার্ক করে দিতে পারেন৷ এখানে টিক মার্ক করলে নিচের অপশন গুলোর আর দরকার পরবে না৷ এরপরে Show dialog boxes এর ঘরে সব গুলো বক্সে অথবা আপনার যেটা দরকার সেগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী টিক মার্ক করে দিবেন৷ এবারে একটু নিচে Product folder নামে একটি ঘর আছে৷ এই ঘরের মধ্যে সিম্বোল গুলো বাদ দিয়ে বাকি লেখাগুলো আপনার দরকার অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হবে এবং এই ঘরের %CompanyName% অংশটুকু না রাখাই ভালো৷ এই পেজের সব শেষে Titles এর ঘর গুলোতেও সিম্বোল বাদ দিয়ে বাকি লেখাগুলো আপনার দরকার অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারবেন৷
I I. License/Information: লাইসেন্স এবং ইনফরমেশন ট্যাবে মূলত আমরা সফটওয়্যারের লাইসেন্স ফাইল ও ইনফরমেশন ফাইল এড করতে পারবো৷ এর জন্য শুধু নিচের চিত্রের মতো মার্ক করা ঘর দুটিতে টিক মার্ক করে লাইসেন্স এগ্রিমেন্ট ও ইনফরমেশন ডায়ালগ বক্স আনলক করে নিতে হবে৷ এখানে দুটি ঘরেই আপনি সব কিছু লিখে অথবা আপনার নিজের লেখা টেক্সট ফাইল থেকেও সফটওয়্যারের লাইসেন্স ফাইল ও ইনফরমেশন ফাইল এড করতে পারবেন৷
I I I. Password: এই ঘরটি কাজের ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্বপূর্ন না৷ সফটওয়্যারটিকে পাসওয়ার্ড প্রোটেক্ট করার জন্য এই ঘরটি ব্যবহার করা হয়৷ আপনি যদি আপনার প্রোগ্রামে পাসওয়ার্ড দিতে চান তাহলে Setup protection ঘরটিতে টিক মার্ক করে পাসওয়ার্ড দিয়ে দেবেন৷ আর না চাইলে কিছুই করা লাগবে না, যাস্ট পরের ট্যাবে দৌড় মারেন৷
IV. Complete Installation: কমপ্লিট ইন্সটলেশন ট্যাবে বেশ কিছু কাজের অপশন দেওয়া আছে৷ আপনার তৈরী প্রোগ্রামটি ইন্সটলের পরে যদি পিসি রি-স্টার্ট করতে চান তাহলে প্রথম ডায়ালগ বক্সে টিক মার্ক করে দিতে পারেন৷ আবার আপনার তৈরী প্রোগ্রামটি ইন্সটলের পরে যদি লন্স করতে বা ওপেন করতে চান তাহলে দ্বিতীয় ডায়ালগ বক্সে টিক মার্ক করতে হবে এবং যে ফাইলটা রান করাবেন তা ফাইল অপশন থেকে সিলেক্ট করে দিতে হবে৷ এবার নিচে আছে ভিউ রিডমি ডায়ালগ বক্সে৷ অর্থাৎ, প্রোগ্রামটি ইন্সটলেশন শেষে উক্ত বক্সে ক্লিক করে আপনার নিজের বা আপনার সফটওয়্যারের সম্পর্কে যে কোন জরুরী কথা ইউজার জানতে পারবে৷ ভিউ রিডমি ডায়ালগ এড করতে চাইলে শুধু টিক মার্ক করে রিডমি টেক্সট ফাইল যোগ করে দিন৷ এই ট্যাবের সবশেষে আছে ওয়েব সাইটের ডায়ালগ বক্স৷ আপনার নিজের কোন ওয়েব সাইট থাকলে সেটা এখানে যোগ করতে পারেন৷
৫৷ Interface: এই মেনুই হচ্ছে কাস্টোমাইজেশনে মূল অংশ৷ এখানে পাঁচটি ট্যাব রয়েছে৷ এগুলো হলো Background, Header, Logo, Languages এবং Icon. চলুন একে একে এদের কাজগুলো সম্পর্কে পরিচিত হওয়া যাক৷
I. Background: এখানে Show the background window এর ঘরে টিক মার্ক করে নিচের মেনু গুলোর কাজ করতে হবে৷ এই ব্যাকগ্রাউন্ড মেনুটি মূলত এপসের ইন্সটলেশন ইন্টারফেজের পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড৷ Preview বাটনে ক্লিক করলে এটা খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন৷ এই ব্যাকগ্রাউন্ডটি দুই ভাবে সেট করা যায়৷ Gradient এ ক্লিক করে শুধু কালার দিয়ে দেয়া যায় অথবা Image এ ক্লিক করে নিজের পছন্দর ছবিও সেট করে দেয়া যায়৷ এরপর একটু নিচে Window title এর ঘর দুটিতে মার্ক করা যায়গাগুলো আপনার নাম ও কম্পানীর নাম দিয়ে পরিবর্তন করে দিন৷ এই নাম গুলো ব্যাকগ্রাউন্ডের উপরে এবং নিচে শো করবে৷
I I. Header: হেডার মেনু থেকে আপনি এপসের ইন্সটলেশন ইন্টারফেজের হেডার কাস্টোমাইজ করতে পারবেন৷ নিচের চিত্রের মতো মার্ক করা যায়গা দুটিতে টিক মার্ক করে হেডারের ইমেজ ও ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করবেন৷
I I I. Logo: এখানে আপনি এপসের ইন্সটলেশন ইন্টারফেজের বাম পাশের ইমেজকে পরিবর্তন করতে পারবেন৷ এই পেজে শুধু Show the logo image এর ঘরে টিক মার্ক করে Settings এর ঘর থেকে ইমেজ ফাইল সিলেক্ট করে দিবেন৷
IV. Languages: এই ঘর থেকে আপনি এপসে যে কোন ভাষা এড বা রিমুভ করতে পারবেন৷
V. Icon: আইকন এর ঘর থেকে এপসের ইন্সটলার ও আনইন্সটলার আইকন পরিবর্তন করতে পারবেন৷ যদিও প্রথমে ডিফল্ট আইকন শো করবে৷ আপনি আপনার পছন্দের আইকন থেকে এগুলো পরিবর্তন করে নেবেন৷
৭৷ Shortcuts: সর্টকাটস মেনুর কাজ হলো যে এপসটি নিয়ে আমরা কাজ করবো সেই এপসে একটি ডেস্কটপ সর্টকাট লিংক তৈরী করা এবং যা আমাদের তৈরী করা এপসটি ইন্সটলের পরে ডেস্কটপ সর্টকাট আইকন হিসেবে শো করবে৷ এর জন্য নিচের চিত্রের মার্ক করা যায়গার মতো সফওয়্যারে ক্লিক করে ফাইল থেকে ডেস্কটপ সর্টকাটটি এড করে দিতে হবে৷
৮৷ Registry: এপসটি ইন্সটলের পরে যদি উইন্ডোজের রেজিস্ট্রিতে কোন প্রকার পরিবর্তন আনতে চান তাহলে এইখান থেকে যেকোন রেজিস্ট্রি এডিট বা নিজের তৈরী করা রেজিস্ট্রি ফাইল এড করে দিতে পারবেন৷
৯৷ Commands: সফটওয়্যারটি রান করার জন্য আপনি যদি কোন এক্সট্রা কমেন্টস ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে নিচের চিত্রে মার্ক করা Commands এর ঘরটিতে কাজ করতে হবে৷
১০৷ INI Files: আইএনআই ফাইল হচ্ছে এমন এক প্রকার টেক্সট ফাইল যার মাধ্যমে আপনি কিছু খুচরা কাস্টোমাইজ করতে পারবেন৷ যেমন ধরুন, আপনি সফটওয়্যারের নেক্সট বাটনে মাউসের কার্সার রাখলেন অমনি কার্সারের রং পরিবর্তন হয়ে গেলো৷ আবার ক্লোজ বাটনে রাখলেন তখন অন্য কালার হয়ে গেলো৷ এগুলোই হচ্ছে আইএনআই ফাইলের কাজ আর এই কাজগুলো করতে হলে চিত্রের মার্ক করা ঘর থেকে আপনাকে আইএনআই ফাইল এড করে দিতে হবে৷
১১৷ ActiveX: একটিভএক্স হচ্ছে মাইক্রোসফটের একটা ফ্রেমওয়ার্ক৷ যা ইন্টারনেট থেকে কোন প্রোগ্রামের কনটেন্ট ডাউনলোড করতে সাহায্য করে৷ ছবিতে লাল মার্ক জায়গা থেকে আপনি চাইলে ActiveX এড করে নিতে পারবেন৷
১২৷ Fonts: আপনার প্রোগ্রামে নতুন কোন ফন্ট এড করতে চাইলে Fonts মেনু থেকে এড করতে পারবেন৷ নতুন ফন্ট এড করতে চাইলে এড বাটনে ক্লিক করে এড করে নেবেন৷
১৩৷ Variables: এই সফটওয়্যারের ভেরিএবলসের ঘরে তেমন কোন কাজ নাই৷ কারন, ভেরিএবলস পার্টটা প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে বেশি দরকারি৷ ভেরিএবলসের কাজ হচ্ছে এপসে সমস্ত ডাটাগুলো সাজানো ও সংরক্ষন করা এবং এর ভেলু নির্ধারন করা৷ যা Smart Install Maker নিজে থেকেই আপনাকে করে দেবে৷ তাছাড়াও আমরা যেহেতু প্রোগ্রামিং ছাড়াই কাজ করছি তাই এই পার্টটা আমাদের দরকার নাই৷ তারপরেও নিজে থেকে করতে চাইলে চিত্রের মার্ক করা যায়গায় ক্লিক করে কাজগুলো করতে পারেন৷
বন্ধুরা, উপরের সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে করে থাকলে এবার তাহলে চলুন Unistaller মেনুর ফিচার গুলো নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক৷
১৷ General: এ মেনুর শুরুতে চিত্রের মার্ক করা যায়গায় টিক মার্ক করে লাল দাগের ঘরগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করে নেবেন৷ একটু নিচে ওয়েব পেজের যায়গাতে টিক দিয়ে নিজের ওয়েব এডড্রেসটি দিতে পারবেন যে ওয়েব পেজটি আপনার তৈরী সফটওয়্যারটি আনইন্সটলের পরে ওপেন হবে৷ সবশেষে আছে রানিং এপস ক্লোজিং কমান্ড৷ চাইলে টিক দিয়ে দিতে পারেন৷

২৷ Files: এখনে আপনি ঐ ফাইলগুলো এড করে দিবেন যেগুলোকে আপনি রিমুভ বা আনইন্সটল করতে চান৷
৩৷ Registry: রেজিষ্ট্রি মেনুতে আবার ঐ সব রেজিষ্ট্রি ফাইল এড করে দিবেন যেগুলোকে আপনি রিমুভ বা আনইন্সটল করতে চান৷
৪৷ Commands: সফটওয়্যারটি আনইন্সটল করার সময় আপনি যদি কোন এক্সট্রা কমেন্টস ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে নিচের চিত্রে মার্ক করা Commands এর ঘরটিতে কাজ করতে হবে৷
ভিউয়ার্স, অবশেষে আমাদের জার্নি খতম হলো৷ উপরের সব কিছু ঠিক থাকলে এবার এটাকে প্যাকেট করার পালা৷ তবে এর আগে অবশ্যই আমাদের পুরা প্রোজেক্টটা একবার পরীক্ষা করে দেখা উচিত৷ আর এ জন্য এপসের উপরের দিকের সবুজ রং এর Run installer বাটনে ক্লিক করতে হবে এবং কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে৷
ফাইলটা অস্থায়ীভাবে রান করে যদি দেখেন সব ঠিক আছে তাহলে প্যাকেজটি বিল্ড করে ফেলুন৷ প্রোজেক্টটি বিল্ড করতে চিত্রের মার্ক করা যায়গায় ক্লিক করুন ও কম্পাইল হওয়ার জন্য একটু সময় অপেক্ষা করুন৷ পুরোপুরি ভাবে বিল্ডিং হয়ে গেলে আউটপুট ফোল্ডারটা নিজে নিজেই ওপেন হয়ে যাবে আর আপনি আপনার কাংখিত ফাইলটা পেয়ে যাবেন৷
অবশেষে আমরা যেকোন সফটওয়্যারের কাস্টোমাইস EXE ফাইল তৈরীতে সফল হলাম৷ এবার আপনি ফাইলটা ইন্সটল দিয়ে দেখতে পারেন কেমন হলো আপনার কষ্টের ফল৷ আশা করি ভালোই হবে৷ এখন আপনি সেটআপ ফাইলটা আপনার পিসির যেকোন ড্রাইডে সংরক্ষন করে রাখতে পারবেন এবং যখন খুশি ইন্সটল করে ব্যবহার করতে পারবেন৷
বন্ধুরা, আলোচনা অনেক হয়েছে৷ যদিও বোঝার তাগিদে আলোচনাটা একটু বেশিই দীর্ঘ হয়েছে৷ আবার অনেক অংশ আলোচনার বাইরেও রয়ে গেছে কারন, এই এপসের সকল খুটিনাটি বিশ্লেষন করতে গেলে পোষ্টটা আরো বড় হয়ে যেতো৷ তবু আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি শুধু আপনাদের উপকারার্থে৷ সুতরাং, দয়া করে কোন ভুল ত্রুটি হলে আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দেবেন এবং কমেন্ট করে জানাবেন৷ ভবিষ্যতে শুধরে নেবো “ইনশাআল্লাহ্”৷ ধৈর্য্য ধরে এতো বড় লেখা পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ৷ আজকে তাহলে এ পর্যন্তই৷ সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন “ফি-আমানিল্লাহ্”৷ আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আগামীতে আরো ভালো কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হতে পারি৷

“আল্লাহাফেজ”

1 comment:

Recent Posts

Subscribe via Email