ভিউয়ার্স, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন৷ আলহামদুলিল্লাহ্, আমিও সবার দোয়ার কারনে আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি৷
আমরা যারা পিসি ইউজার তারা প্রায় সকলেই হয়তো উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে কম বেশি জানি৷ তবে বর্তমানে আমরা উইন্ডোজের যেই পরিপূর্ন চকচকে অপারেটিং সিস্টেমগুলো ব্যবহার করছি তার শুরুটা হয়েছিলো প্রায় তিন যুগ আগে৷ অর্থ্যাৎ, ১৯৮৩ সালের ১০ই নভেম্বর বিল গেটস সর্ব প্রথম আনুষ্ঠানিক ভাবে মাইক্রোসফট উইন্ডোজের ঘোষনা দেয়৷ এর পরে ১৯৮৫ সাল থেকে কালের পরিক্রমায় শুরু হয় মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১.০, উইন্ডোজ ২.০, উইন্ডোজ/৩৮৬, উইন্ডোজ/২৮৬, উইন্ডোজ ৩.০, উইন্ডোজ এনটি, উইন্ডোজ ৩.০এ, উইন্ডোজ ৩.১, ওয়ার্কগ্রুপস ৩.১, উইন্ডোজ এনটি ৩.১, উইন্ডোজ এনটি ৩.১১ এবং উইন্ডোজ ৩.১১ এর সংস্করনগুলো৷ যেখানে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত মাইক্রোসফট উইন্ডোজের লাইসেন্সকৃত ব্যবহাকারীরদের সংখ্যা ছিলো ২৫ মিলিয়নেরও বেশি৷ আবার সামান্য যাত্রা বিরতির পর ১৯৯৪ সাল থেকে যথাক্রমে ওয়ার্কগ্রুপস ৩.১১, উইন্ডোজ এনটি ৩.৫, উইন্ডোজ এনটি ৩.৫১, উইন্ডোজ ৯৫, উইন্ডোজ ৯৫ সার্ভিস প্যাক ১, উইন্ডোজ এনটি ৪.০, উইন্ডোজ ৯৫ ওএসআর২, উইন্ডোজ সিই ১.০, উইন্ডোজ সিই ২.০, উইন্ডোজ ৯৫ ওএসআর২.৫, উইন্ডোজ ৯৮, উইন্ডোজ সিই ২.১, উইন্ডোজ ৯৮ এসই, উইন্ডোজ সিই ৩.০, উইন্ডোজ ২০০০, উইন্ডোজ এমই, উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ এক্সপি ৬৪-বিট ভার্সন ২০০২, উইন্ডোজ সার্ভার ২০০৩, উইন্ডোজ এক্সপি ৬৪-বিট ভার্সন ২০০৩, উইন্ডোজ এক্সপি মিডিয়া সেন্টার এডিশন ২০০৩, উইন্ডোজ এক্সপি মিডিয়া সেন্টার এডিশন ২০০৫ এবং উইন্ডোজ এক্সপি প্রোফেশনাল ৬৪-বিট এডিশন ইত্যাদি ছিলো মাইক্রোসফটের একটা বিরাট অর্জন৷ তাই ২০০৫ সালে মাইক্রোসফট "লংহর্ন" কোড নামক একটা নতুন অপারেটিং সিস্টেমের ঘোষনা দেয় যার নাম ছিলো উইন্ডোজ ভিস্তা৷ ২০০৬ সালে ব্যাপক গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেজ নিয়ে আবার পর্যায়ক্রমে উইন্ডোজ ভিস্তা, উইন্ডোজ সার্ভার ২০০৮, উইন্ডোজ সেভেন, উইন্ডোজ সার্ভার ২০১২, উইন্ডোজ এইট এবং সর্বশেষ সংস্করন হিসেবে উইন্ডোজ ১০ রিলিজ করে৷ যা সফলতার দিক থেকে মাইক্রোসফটের এতোদিনের যাত্রাকে করেছে পরিপূর্ন৷ অবাক হলেও সত্য, বর্তমানে প্রায় ৭০০ মিলিয়নেরও বেশি ডিভাইসে চলছে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম৷ আর এর মূল কারন হচ্ছে আধুনিক ডিজাইন বা চোখ ধাঁধানো ইউজার ইন্টারফেজ এবং ফ্রেন্ডলী অপারেশন৷ এক কথায় সাধ্যের মধ্যে সব৷
শুধুমাত্র আলোচনাতেই নয়, বাস্তবিকভাবে আমাদের চারপাশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় অধিকংশ পিসিতেই অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে চলছে উইন্ডোজ ১০৷ কারন, উইন্ডোজ ১০ এর গুড লুকিং সহ যেই সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে তার বেশিরভাগই উইন্ডোজের অন্যসব অপারেটিং সিস্টেমে নেই৷
তবে এতো সব ভালোর মধ্যেও আমার মতো গরীবদের জন্য কিছু খারাপও রয়েছে৷ আর তা হলো পিসির কনফিগারেশন৷ অর্থ্যাৎ, আমার মতো যারা পুরোনো বা লো কনফিগার পিসি ব্যবহার করেন তাদের জন্য নিজের পিসিতে উইন্ডোজ ১০ ইন্সটল করে ইউজ করাটা এক প্রকার কষ্টসাধ্য ব্যাপার৷ এর প্রধান কারন হলো স্বল্প হার্ডড্রাইভ স্পেস৷ আবার যদিও লো কনফিগার পিসিতে উইন্ডোজ ১০ চালানো সম্ভব কিন্তু অপারেট করাটা বেশ মুশকিল৷ কারন, অফিসিয়াল উইন্ডোজ ১০ ব্যাপক গুরুত্বপূর্ন প্রোগ্রামে ভরপুর তাই মাঝেমধ্যেই লো কনফিগারেশনের পিসি গুলো স্লো হয়ে যায়৷ তাছাড়াও অফিসিয়াল উইন্ডোজ ১০ এর সব থেকে বিরিক্তিকর ব্যাপার হচ্ছে বারবার উইন্ডোজ আপডেট নেয়া৷ আর এই সকল প্রকার সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো উইন্ডোজ ১০ এর লাইট ভার্সন৷ এটিও মাইক্রোসফটের ডেভলপারদের তৈরী এবং মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল অপারেটিং সিস্টেম৷ এটি উইন্ডোজ ১০ এর অন্যান্য ভার্সনের চেয়ে তুলনামূলক হালকা৷ কারন, এই অপারেটিং সিস্টেমটা লো কনফিগার গেমিং পিসির জন্য ডেভলপ করা হয়েছে৷ তাই উইন্ডোজ ১০ লাইট ভার্সন থেকে অনেক উপাদান বাদ দেয়া হয়েছে৷ সুতরাং, নির্দিধায় এটিকে আমরা আমাদের পিসিতে চালাতে পারবো৷
বন্ধুরা, আসুন একবার দেখে নেয়া যাক উইন্ডোজ ১০ এর লাইট ভার্সন থেকে কি কি উপাদান মুছে ফেলা হয়েছেঃ
শুধুমাত্র আলোচনাতেই নয়, বাস্তবিকভাবে আমাদের চারপাশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় অধিকংশ পিসিতেই অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে চলছে উইন্ডোজ ১০৷ কারন, উইন্ডোজ ১০ এর গুড লুকিং সহ যেই সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে তার বেশিরভাগই উইন্ডোজের অন্যসব অপারেটিং সিস্টেমে নেই৷
তবে এতো সব ভালোর মধ্যেও আমার মতো গরীবদের জন্য কিছু খারাপও রয়েছে৷ আর তা হলো পিসির কনফিগারেশন৷ অর্থ্যাৎ, আমার মতো যারা পুরোনো বা লো কনফিগার পিসি ব্যবহার করেন তাদের জন্য নিজের পিসিতে উইন্ডোজ ১০ ইন্সটল করে ইউজ করাটা এক প্রকার কষ্টসাধ্য ব্যাপার৷ এর প্রধান কারন হলো স্বল্প হার্ডড্রাইভ স্পেস৷ আবার যদিও লো কনফিগার পিসিতে উইন্ডোজ ১০ চালানো সম্ভব কিন্তু অপারেট করাটা বেশ মুশকিল৷ কারন, অফিসিয়াল উইন্ডোজ ১০ ব্যাপক গুরুত্বপূর্ন প্রোগ্রামে ভরপুর তাই মাঝেমধ্যেই লো কনফিগারেশনের পিসি গুলো স্লো হয়ে যায়৷ তাছাড়াও অফিসিয়াল উইন্ডোজ ১০ এর সব থেকে বিরিক্তিকর ব্যাপার হচ্ছে বারবার উইন্ডোজ আপডেট নেয়া৷ আর এই সকল প্রকার সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো উইন্ডোজ ১০ এর লাইট ভার্সন৷ এটিও মাইক্রোসফটের ডেভলপারদের তৈরী এবং মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল অপারেটিং সিস্টেম৷ এটি উইন্ডোজ ১০ এর অন্যান্য ভার্সনের চেয়ে তুলনামূলক হালকা৷ কারন, এই অপারেটিং সিস্টেমটা লো কনফিগার গেমিং পিসির জন্য ডেভলপ করা হয়েছে৷ তাই উইন্ডোজ ১০ লাইট ভার্সন থেকে অনেক উপাদান বাদ দেয়া হয়েছে৷ সুতরাং, নির্দিধায় এটিকে আমরা আমাদের পিসিতে চালাতে পারবো৷
বন্ধুরা, আসুন একবার দেখে নেয়া যাক উইন্ডোজ ১০ এর লাইট ভার্সন থেকে কি কি উপাদান মুছে ফেলা হয়েছেঃ
|
ভিউয়ার্স, এবার তাহলে দেখে নেয়া যাক উইন্ডোজ ১০ লাইট ভার্সনে কি কি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমানঃ
|
বন্ধুরা, নিচের চিত্রটা উইন্ডোজ ১০ লাইট ভার্সনের হোম পেজ৷ এখানে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন এটি উইন্ডোজ ১০ এর অন্যান্য ভার্সন থেকে তেমন আলাদা না৷ শুধু কিছু অপ্রোয়জনীয় প্রোগ্রাম এতে দেওয়া নেই৷
এরপর নিচের ছবিটার মতো যদি আমরা স্টার্ট মেনুতে যান তাহলে দেখবেন সেখানেও তেমন কোন প্রোগ্রাম নেই৷ যার ফলে আপনার পিসি অনেক হাল্কা থাকবে এবং অপারেট করতে সুবিধা হবে৷ তবে আপনি চাইলে পিসি সেটআপের পরে আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো ইন্সটল করে নিতে পারবেন৷
আরেকটি মজার বিষয় হচ্ছে এই অপারেটিং সিস্টেমটি প্রি-এক্টিভেটেড৷ সুতরাং, উইন্ডোজ এক্টিভেট করার কোন ঝামেলা নেই৷ নিচের চিত্রটা দেখলেই বুঝতে পারবেন৷
বন্ধুরা, উইন্ডোজ ১০ লাইট ভার্সনের ডাউনলোড ফাইলে কি কি থাকছে অর্থ্যাৎ, ফাইল সেটআপের প্রযুক্তিগত বিবরন গুলো দেখে নেয়া যাকঃ
এবার ডাউনলোড করার আগে চলুন দেখি উইন্ডোজ ১০ এর এই ভার্সনটা পিসিতে সেটআপ করতে গেলে নূন্যতম কেমন কনফিগারের পিসি আমাদের দরকারঃ
ভিউয়ার্স, বকবক অনেক হয়েছে এবার ডাউনলোড করার পালা৷ এতক্ষনের আলোচনায় যদি মনে হয় আপনিও আপনার পিসিতে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম চালাতে চান তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করে পছন্দ অনুযায়ী বিট রেট দেখে ডাউনলোড করে ফেলুন৷
আরেকটি মজার বিষয় হচ্ছে এই অপারেটিং সিস্টেমটি প্রি-এক্টিভেটেড৷ সুতরাং, উইন্ডোজ এক্টিভেট করার কোন ঝামেলা নেই৷ নিচের চিত্রটা দেখলেই বুঝতে পারবেন৷
বন্ধুরা, উইন্ডোজ ১০ লাইট ভার্সনের ডাউনলোড ফাইলে কি কি থাকছে অর্থ্যাৎ, ফাইল সেটআপের প্রযুক্তিগত বিবরন গুলো দেখে নেয়া যাকঃ
|
এবার ডাউনলোড করার আগে চলুন দেখি উইন্ডোজ ১০ এর এই ভার্সনটা পিসিতে সেটআপ করতে গেলে নূন্যতম কেমন কনফিগারের পিসি আমাদের দরকারঃ
|
ভিউয়ার্স, বকবক অনেক হয়েছে এবার ডাউনলোড করার পালা৷ এতক্ষনের আলোচনায় যদি মনে হয় আপনিও আপনার পিসিতে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম চালাতে চান তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করে পছন্দ অনুযায়ী বিট রেট দেখে ডাউনলোড করে ফেলুন৷
ডাউনলোড করা হয়ে গেলে যে ISO ফাইলটা পবেন সেটাকে একটা ডিভিডিতে বার্ন করে অথবা একটা পেনড্রাইভে বুটএবল করে কনফিগার অনুযায়ী যেকোন পিসিতে সেটআপ করতে পারবেন৷
আজকে এপর্যন্তই৷ কারো কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট
করে জানাবেন৷ কোন ধরনের ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন৷ ধৈর্য্য ধারন করে পোষ্টটা পরার জন্য সবাইকে
ধন্যবাদ৷ সামনে আপনাদের প্রয়োজনে আরো ভালো কিছু নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করবো৷
"ইনশাআল্লাহ্"৷
সবাই ভালো এবং সুস্থ্য থাকার চেষ্টা করবেন, "ফি-আমানিল্লাহ্"৷ এখনকার মতো বিদায়৷
সবাই ভালো এবং সুস্থ্য থাকার চেষ্টা করবেন, "ফি-আমানিল্লাহ্"৷ এখনকার মতো বিদায়৷
"আল্লাহাফেজ৷"
No comments:
Post a Comment